সূর্যের অভ্যন্তরে নিউক্লিয় সংযোজন প্রক্রিয়ায় প্রতিনিয়ত প্রচুর পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হচ্ছে। এই শক্তির সামান্য কিছু অংশ তাপ ও আলো রূপে পৃথিবীতে প্রবেশ করছে। আর এই শক্তিই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পৃথিবীর সমস্ত শক্তির জোগান দিচ্ছে। সুতরাং, বলাই যায় যে পৃথিবীর শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য। যেমন-
1. সূর্যালোকের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার সবুজ পাতায় জল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। অর্থাৎ, উদ্ভিদ তার দেহে সৌরশক্তিকে রাসায়নিক স্থিতিশক্তি রূপে সঞ্চিত রাখে। সমগ্র প্রাণীজগৎ আবার উদ্ভিদ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে সেই শক্তি সংগ্রহ করে। সুতরাং উদ্ভিদ এবং প্রাণী তথা পরিবেশের সমস্ত জীব তাদের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সূর্যের ওপরেই নির্ভরশীল।
2. সূর্যের তাপে বিভিন্ন জলাশয় নদী ও সমুদ্রের জল বাষ্পে পরিণত হয়। এই জলীয় বাষ্প উপরে উঠে শীতল হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এবং সেই মেঘ থেকে হয় বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত। বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের জল যখন পাহাড় পর্বত থেকে তীব্র বেগে নেমে আসে তখন সেই জলশ্রোতের গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। সুতরাং মেঘ, বৃষ্টি, নদী প্রবাহ, ও তার মাধ্যমে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ পরোক্ষভাবে সূর্যের উপরে নির্ভরশীল।
3. কয়লা ও খনিজ তেলের মত জীবাশ্ম জ্বালানি গুলি পুড়িয়ে তাপশক্তি পাওয়া যায়। হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীদের দেহ যথাক্রমে কয়লা ও খনিজ তেলে রূপান্তরিত হয়। তাই মাটির নিচে থাকা যে কয়লা ও খনিজ তেল আমরা আজ ব্যবহার করছি তারও মূল উৎস হলো সূর্য।
4. পৃথিবীর বায়ুপ্রবাহের মূল কারণও হলো সূর্য। সূর্যরশ্মির প্রভাবে পৃথিবীর কোন স্থান কম উত্তপ্ত ও কোনো স্থান বেশি উত্তপ্ত হওয়ার কারণে বায়ুমন্ডলেও তাপমাত্রার তারতম্য দেখা দেয়। আর তাই বায়ুমণ্ডলের সর্বত্র তাপমাত্রার সমতা আনার জন্য বায়ু প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হতে থাকে। আর বর্তমানে এই বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়েও বায়ুকলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরি করা হচ্ছে।
1. সূর্যালোকের সাহায্যে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় উদ্ভিদ তার সবুজ পাতায় জল ও কার্বন-ডাই-অক্সাইডের সাহায্যে খাদ্য তৈরি করে। অর্থাৎ, উদ্ভিদ তার দেহে সৌরশক্তিকে রাসায়নিক স্থিতিশক্তি রূপে সঞ্চিত রাখে। সমগ্র প্রাণীজগৎ আবার উদ্ভিদ থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খাদ্যগ্রহণের মাধ্যমে সেই শক্তি সংগ্রহ করে। সুতরাং উদ্ভিদ এবং প্রাণী তথা পরিবেশের সমস্ত জীব তাদের প্রয়োজনীয় শক্তির জন্য সূর্যের ওপরেই নির্ভরশীল।
Image source: www.pexels.com |
2. সূর্যের তাপে বিভিন্ন জলাশয় নদী ও সমুদ্রের জল বাষ্পে পরিণত হয়। এই জলীয় বাষ্প উপরে উঠে শীতল হয়ে মেঘের সৃষ্টি করে। এবং সেই মেঘ থেকে হয় বৃষ্টিপাত ও তুষারপাত। বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের জল যখন পাহাড় পর্বত থেকে তীব্র বেগে নেমে আসে তখন সেই জলশ্রোতের গতিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে টারবাইন ঘুরিয়ে প্রচুর পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। সুতরাং মেঘ, বৃষ্টি, নদী প্রবাহ, ও তার মাধ্যমে উৎপন্ন জলবিদ্যুৎ পরোক্ষভাবে সূর্যের উপরে নির্ভরশীল।
3. কয়লা ও খনিজ তেলের মত জীবাশ্ম জ্বালানি গুলি পুড়িয়ে তাপশক্তি পাওয়া যায়। হাজার হাজার বছর ধরে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা উদ্ভিদ ও প্রাণীদের দেহ যথাক্রমে কয়লা ও খনিজ তেলে রূপান্তরিত হয়। তাই মাটির নিচে থাকা যে কয়লা ও খনিজ তেল আমরা আজ ব্যবহার করছি তারও মূল উৎস হলো সূর্য।
4. পৃথিবীর বায়ুপ্রবাহের মূল কারণও হলো সূর্য। সূর্যরশ্মির প্রভাবে পৃথিবীর কোন স্থান কম উত্তপ্ত ও কোনো স্থান বেশি উত্তপ্ত হওয়ার কারণে বায়ুমন্ডলেও তাপমাত্রার তারতম্য দেখা দেয়। আর তাই বায়ুমণ্ডলের সর্বত্র তাপমাত্রার সমতা আনার জন্য বায়ু প্রতিনিয়ত প্রবাহিত হতে থাকে। আর বর্তমানে এই বায়ুপ্রবাহকে কাজে লাগিয়েও বায়ুকলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ তৈরি করা হচ্ছে।